শীতের ছুটিতে এবার দেশে ফেরত গেছিলাম, তবে তেমন কোন খবর নেই যা নিয়ে লেখা-লেখি করা যায় |
অনেক দিন পর ব্লগে পোস্ট লিখছি, এবং প্রথমত এর জন্য দুক্ষ প্রকাশ করছি। সত্তি কথা হোল যে আমার জীবনে এ মুহুর্তে লেখার মতন তেমন কোন বিষয় নেই। আমি সাধারণত একটি বিশেষ প্রসঙ্গ নিয়ে বেশ কয়েকটা লেখা ছাপাই ব্লগে, এবং আমার গত কয়েক পোস্ট ছিল মানুষকে আমার উভকামিতার কথা খুলে বলা নিয়ে। আমার এখনো এই ধারাবাহিকতার সব পোস্ট গুলো বাংলায় অনুবাদ করা হয়নি, তবে আমি এখনি অনুভব করছি যেয়ে এ নিয়ে আমার আর তেমন নতুন কিছু বলার নেই।
আমি শীতের ছুটিতে বেশ কয়েক সপ্তাহ কাটিয়ে এসেছি দেশে এই কয়েক মাস হবে, এবং যাওয়ার আগে আমি ভেবেছিলাম এবার বোধয় আমি আমার পরিবারের বেশ কিছু সদস্যকে আমার উভকামিতার কথা খুলে বলব। কিন্তু সবার সাথে ওঠা-বসা এবং ছবি তোলার মাঝে আমার নিজের কাছে মনে হয় - ব্যাপারটা কি আসলেই এত দরকারী যে সবাই কে সামনা-সামনি খুলে বলতে হবে? ব্যাপারটা এই না যে নিজের পরিচয় নিয়ে অবাধে বাস করাতে আমি আর বিশ্বাস করি না। বরং এ স্বাধীন ভাবে বাস করার কারণেই আমি নিজেকে এই প্রশ্ন করি। যারা জানতে চায় তারা সহজেই আমার ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়া অথবা পারস্পরিক বন্ধুদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারে। এই কারনে মানুষকে সামনা-সামনি বলা - বিশেষ করে যারা আমার খুব একটা ঘনিষ্ট না - এখন আমার কাছে আর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার না। আমি কাকে পছন্দ করি বা ডেট করছি - এ প্রসঙ্গ নিয়ে আমি আমার অনেক আত্বীয়-স্বজনেরই সাথে কখনো আলোচনা করি না, এবং সে মানুষের জেন্ডার তাতে কোন ফ্যাক্টর না। এক কালে আমার মানসিকতা যখন অন্য রখম ছিল আমি হয়তো জোর করে এ সমস্ত প্রসঙ্গ নিয়ে কথা তুলতাম সচেতনতার জন্যে, তবে আজ আমি মনে করি একই সাথে নিজের ব্যক্তিগত জীবন কিছুটা নিজের জন্যে রক্ষা করা উচিত। আমার আত্বীয়-স্বজনেরা আমার উভকামিতার কথা একদিন নিশ্চয় এমনিই জেনে যাবে।
তবে এই সবের শর্তেও হয়তো এই বিষয়ে আরও এক-দুইটা লেখা আমি ছাপতে পারি। আমার মা-বাবা এখনও আমার উভকামিতার কথা জানে না, এবং তাদেরকে সত্তি কথা খুলে বলা আমার মতে আমার নিকটতম বড় ধাপ। আমি কবে এ ধাপ পার হব তা জানি না, এবং এ করনে এখন কোন সময়ের ইঙ্গিত দিচ্ছি না। ইতিমধ্যে আমার আরো অনেক কিছু করার আছে। আমি আমার চাকরির উপর ফোকাস করেতে চাই, যা নিয়ে আমি সাধারণত এই ব্লগে লিখি না। আমি আমার বিশ্বাস নিয়ে শান্তিতে আছি। এ শান্তি সহজেই আসে যখন মানুষ বোঝে যে ধর্ম অনেক ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়; এবং যারা LGBT পরিচয় কি তাই জানে না বা কোনদিন তারা LGBT মানুষের সাথে মুখোমুখি হয়নি, তাদের কাছ থেকে মঙ্গলকর ব্যাখ্যা আশা করার কোন মানে হয় না। অনেক মানুষ আমাকে বিভিন্ন LGBT অধিকারে বিশ্বাসী ইসলামী পাণ্ডিত্যের সোর্স পরার পরামর্শ দিয়েছে, হয়ত এখন সময় হয়েছে এগুলো সব খুঁজে বের করে নেয়ার।
আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তেমন কিছু লেখার না থাকলেও যে আমার লেখা থামিয়ে দিতে হবে তা নয়। আমার ব্লগের ড্যাশবোর্ডে বিভন্ন ছিটে-কাটা লেখা পরে আছে - বেশিরবাগ LGBT অধিকার, বাংলাদেশ ও ইসলাম নিয়ে। আমি আশা করছি যেয়ে এগুলো একটু গোছগাছ করার পর সামনের কয়েক মাস ধরে এগুলো চাপবো - তবে বিষয় গুলো বেশি জটিল হলে হয়তো বাংলায় অনুবাদ হবে না! আর এ ছাড়া আমি অবশ্যই এখনও Twitter-এ একটিভ আছি।