আমাদেরকে নাকি বোমা ফাটিয়ে মেরে ফেলা উচিত |
উপডেট (২০ এপ্রিল ২০১৪)ঃ গে স্টার নিউজ নামে একটি ইংরেজি অনলাইন সাইট রিপোর্ট করছে যে এটা ঠিক 'গে প্রাইড প্যারেড' ছিল না। আর্টিকেলটি পড়তে পারবেন এখানে। রূপবান, জারা এ প্যারেডের জন্য দায়ী, তারা বলেছে যে এটা মানুষের মধ্যে যে বৈচিত্রতা ও বন্ধুত্ব হতে পারে সেটা তুলে ধরার জন্য আয়োজিত করা হয়েছিল। আমার মতে এটা তাও খুব ভালো একটা পদক্ষেপ, বিশেষ করে আমাদের দেশের কথা চিন্তা করলে। আমি আমার এই এবং অন্যান্য ব্লগ পোস্টগুলো পাল্টাছি না তবে এ নোটটা উপড়ে দিয়ে রাখছি ইনফর্মেশনের জন্য। এ প্যারেডটা যে 'প্রাইড প্যারেড' ছিল তা আমি ভেবেছিলাম শুধুমাত্র নিউজ ও সোশাল মিডিয়ার পতিক্রিয়া দেখে।
গত মঙ্গলবার ১৪ এপ্রিল আমরা ১৪২১ সালের পহেলা বৈশাখ উদজাপন করলাম, যেমন আমরা করি প্রতি বছর। কিন্তু এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার পরে কিছু মানুষ রংধনুর রঙে রাঙানো ছোট্ট একটি মিছিল বের করেছিল। ঠিক ওই মুহুর্তে জনসাধারণ বুঝতে না পারলেও পরে সবাই ঠিক বুঝতে পারে যে এটা একটি 'সমকামী র্যালি' ছিল।এ নিয়ে priyo.com এ একটি লেখাও চাপা হয়েছে। এ লেখা, ফেসবুক, টুইটার ও বিভন্ন ব্লগে অনেক বাংলাদেশী মানুষের বিভিন্ন পতিক্রিয়া প্রকাশ হয়েছে - উপরের ছবির মানুষটির কমেন্টের মতন।
গত মঙ্গলবার ১৪ এপ্রিল আমরা ১৪২১ সালের পহেলা বৈশাখ উদজাপন করলাম, যেমন আমরা করি প্রতি বছর। কিন্তু এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার পরে কিছু মানুষ রংধনুর রঙে রাঙানো ছোট্ট একটি মিছিল বের করেছিল। ঠিক ওই মুহুর্তে জনসাধারণ বুঝতে না পারলেও পরে সবাই ঠিক বুঝতে পারে যে এটা একটি 'সমকামী র্যালি' ছিল।এ নিয়ে priyo.com এ একটি লেখাও চাপা হয়েছে। এ লেখা, ফেসবুক, টুইটার ও বিভন্ন ব্লগে অনেক বাংলাদেশী মানুষের বিভিন্ন পতিক্রিয়া প্রকাশ হয়েছে - উপরের ছবির মানুষটির কমেন্টের মতন।
এই কারনেই যারা এ মিছিলের আয়োজন করেছে, তাতে অংশ গ্রহণ করেছে তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এরখম একটা কাজ করা সাহসের ব্যাপার। আমার আশা ছিল যেয়ে আমার জীবনে দেশকে এ বিষয়ে অগ্রগতি করতে দেখে জাব। এতো তাড়াতাড়ি এরখম জিনিস দেখবো তা ভাবিনি। তবে সাধারণ মানুষের আমাদেরকে গ্রহণ করতে এখনো অনেক দিন বাকি। মানুষজনের কিছু প্রসঙ্গ অনুযায় বেশি 'লাইক' পাওয়া কমেন্ট আমি নিচে (নাম মুছে দিয়ে) ছাপছি - তারা আমাদেরকে নিয়ে কি ভাবে তা দেখানোর জন্যে, এবং তা নিয়ে কিছু কথা বলার জন্য। উপরের কমেন্টি ছাড়া সব কমেন্ট প্রথম পারাতে লিংক দিয়া আর্টিকেল থেকে।
ধর্ম ও ইসলাম
মসুলমান হিসেবে আমার হজরত লুতের গল্প অনেক শুনতে হয় |
এ কমেন্টটা এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লাইক পেয়েছে। কোরানএ হজরত লুতের কথা লেখা আছে, এবং অনেকেই আমাদের মনে করিয়ে দিতে পছন্দ করে কিভাবে পুরা এক জাতিকে ধংশ করে দেওয়া হয়েছিল সমকামিতার জন্য। কিন্তু সবাই একই সাথে ভুলে যায় যে (১) এখানে পুরুষদের সমকামী ধর্ষণ নিয়ে কথা হয়েছে আর (২) লুতের মানুষের আরো অনেক পাপ ছিল, এবং তাদের শেষ পর্যন্ত শাস্তি হয় এ সব পাপ গুলোর জন্য, এবং আল্লাহর কথা নিন্দা করার জন্য। মানুষ আরো ভুলে যায় যে কোরানের অন্য অংশে এমন লোকেরও কথা লেখা আছে যাদের মহিলাদের প্রতি কোনো আকর্ষণ নাই। এবং এখানে তো সুধু পুরুষদের নিয়ে কথা হচ্ছে - মহিলা সমকামীদের তাহলে কিভাবে এ সুরা দিয়ে অশিকার করা যায়?
আমরা এদের বিচার করার কে?
এ কমেন্টার যে এতো লাইক তা দেখে আমি খুশি! |
প্রথম কমেন্টি খারাপ হোলেও দ্বিতীয় অবস্থানের কমেন্টি ভালো। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে এরক্ষম কমেন্টি সবচেয়ে বেশি লাইক পাবে। আরেকটা কথা যেটা এই কমেন্টার তুলে ধরে হোল কেউ সমকামিদেরকে পছন্দ না করেলও ঘৃনা করার কি আছে - সমকামীরা তো আর ঠিক তার সাথে মিশতে আসবে না! এবং এসব মানুষরা ঠিক কি ভাবে - সমকামীরা কিভাবে সমাজের ক্ষতি করে?
শেষের প্রশ্নটা নিয়ে আসলেই আমাদের ভাবা উচিত - এত মাথা ঘামানোর কি আছে? |
"আপনি পার্সোনালি এতো হস্টাইল কেন ওদের উপর?" - এটা বেশ ভাল একটা প্রশ্ন। মানুষের আমাদের নিয়ে এতো মাথা বেথা কেন? সমকামীরা নিশ্চয় সুধু তাদের নিজেদের মধ্যে অথবা তাদেরকে যারা সাপোর্ট করে তাদের সাথে মিশতে যাবে। যেচে পরে নিশ্চয় সমকামিতা যারা অপছন্দ করে তাদের সাথে বন্ধুত্য করতে আহ্সবে না।
সব আওয়ামী লীগের দোষ
খিক! |
প্রথম এবং তৃতীয় কমেন্ট দুটো পুরোপুরি হাস্যকর, একটু মজার জন্য ছাপলাম!
কোন কমেন্টা বেশি লাইক পেয়েছে তাতে আমি একটু শান্তনা নিচ্ছি |
তবে এটা সত্যি যে এ মুহুর্তে অনেক মানুষ আওয়ামী লীগের উপর অসন্তুষ্ট ইলেকশনের কারণে। তাই বলে সব কিছু তাদের দোষ। তবে আওয়ামী লীগ আসলেই সমকামী অধিকারের পক্ষে নাকি তা আমার জানা নেই। সুধু এটুকু বলতে চাই: বিএনপি-জামাতের এটা কি চোখে দেখবে তা আমার মনে হয়না কারোর সন্দেহ থাকা উচিত।
পশু ও 'শিশুকামীদের' সাথে তুলোনা
এ ধরনের তুলোনা আজীবন দেখে আসছি |
এখানে ঠিক কি বলার আছে? পশুদের সাথে তুলোনা করণ অনেকে বলে পশুরা সমকামী আচরণ দেখায়, এবং তার মানে নিশ্চয় সমকামিতা প্রাকৃতিক। পশুর সাথে আর কি মিল আছে আমাদের জানেন? আমাদের জীবন সাথী খোজা, যৌন প্রজননতা ইত্যাদি - পশুরা এগুলোও করে। আমাদের কি তাহোলে এসব বন্দ করে দেওয়া উচিত?
কেউ বলতে যায়নি যে আমাদের নগ্ন থাকা উচিত বা সন্তান হত্যা করা উচিত। আমাদের যেয়ে স্তনপায়ী প্রাণীর সাথে কিছু জীবতত্ত্বিক মিল আছে তা বলেছে। এটা বৈজ্ঞানিক সত্য। এবং সমকামিতাও এই মিলগুলির মধ্যের একটা। এটাকে কেন ক্ষতিকর আচরণ ধরা হচ্ছে? এখানে ঠিক কার ক্ষতি হচ্ছে?
আর শিশুকামিতার সাথে কিভাবে তুলোনা হয়? শিশুকামিতা হয়ে দাড়ায় শিশুর ধর্ষণ। এদিকে একজন অ্যাডাল্ট মানুষ যদি আরেকজন অ্যাডাল্ট মানুষের সাথে সম্মিত ভাবে শরীরক সম্পর্কে জরায় সেখানে, আবারও, ক্ষতি কার হচ্ছে?
এবং ধরে মারো
কি বলব জানি না |
এটার আবার বিশ্লেষণ করার কি। অনেকে এতই অসভ্য যেয়ে তাদের ইচ্ছা মত কিছু না হোলেই কাউকে মারপিট করা দরকার। আমাদের দেশের কি সাধেই এ অবস্থা? এদের জন্নে দেশে এতো খুন-খারাপি, এতো আমরা পিছিয়ে আছি।
No comments:
Post a Comment